Sunday, December 18, 2011

কবিতা

এক হলে বিশাল কবিতা প্রতিযোগিতার অনুষ্ঠান হচ্ছে। সেখানে সারাদেশ থেকে ছোট বড়, নামী দামী কবিরা অংশগ্রহণ করে কবিতা পাঠ করছে। দর্শক শ্রোতা বোদ্ধাদের তালি হইচই।

হঠাৎ দেখা গেলো ঢাকাইয়া এক নব্য কবি মাথায় ইয়া ঝাঁকড়া বাবরি দোলানো বিদ্রোহী কবি নজরুল গোছের চুল ময়লা ইস্ত্রি বিহীন ভাঁজপড়া পাঞ্জাবি, কাঁধে কবি কবি ভাবের ব্যাগ ঝোলানো মঞ্চে উঠে এলো।

দর্শক শ্রোতা সবাই উন্মুখ ভালো কোন কবিতা তার কাছ থেকে শোনার জন্য। কবি তার কবিতা খুঁজে পাচ্ছে না - ঝোলা ব্যাগ হাতাচ্ছে। পকেট হাতিয়ে অবশেষে একটা দলানো মোচড়ানো কাগজ বের করে থেমে থেমে পড়া শুরু করলো: দু'টো ছেঁড়া-ফাড়া পাঞ্জাবি, একটি পুরনো শাড়ি, একটি পায়জামা ও ছোট্ট শিশুর দু'টি শার্ট....

বলেই কবি ইতস্তত ভাবে নেমে যাচ্ছে আর বিচারক মন্ডলীর টেবিল থেকে তখন 'বাহবা বাহবা' বলে টেবিল চাপড়ানোর রব উঠলো। দর্শক শ্রোতা না বুঝেই বাহ বাহ করে তুমুল করতালিতে ফেটে পড়লো। মিডিয়ার লোকজন, টিভি রিপোর্টাররা মাইক নিয়ে তার উপর হুমড়ি খেয়ে পড়লো। ছবির পর ছবি তুলতে লাগলো।

একজন প্রশ্ন করলো, কবি হোসাইন মুহাম্মদ বিষাদ, এই যে পৃথিবী জুড়ে এখন যুদ্ধ সন্ত্রাস হানাহানি, শোষণ, মানুষে মানুষে ভেদাভেদ, সংকট সংশয় এ সময় আপনি এই তৃতীয় বিশ্বের এতো নিগূঢ় সমস্যা টানাপোড়েন কিভাবে কবিতায় তুলে আনলেন?

কবির উত্তর: আরে দূর মিয়ারা, আমিতো ভুলে কবিতা না আইনা হালায় লন্ড্রির স্লিপখানা পকেটে লয়া আয়া পড়ছি। ভাই আমারে মাফ কইরা দেন।

0 comments:

Post a Comment

এই লেখাটি ফেইসবুকে শেয়ার করতে ফেইসবুক আইকনে/বাটনে ক্লিক করুন।
মন্তব্য করার ক্ষেত্রে বন্ধুসুলভ আচরণের অনুরোধ রইলো।

 
Design by Amader Design