Sunday, December 18, 2011

চিড়া মুড়ি

ঢাকার এক ভদ্রলোক প্রথম কোলকাতায় গেছেন। নতুন জায়গা জলবায়ু, খাবার দাবারের পরিবর্তন ও উল্টাপাল্টা খাওয়ায় তার লুজ মোশন হয়ে গেলো। ওষুধের দোকানে কেউ ওষুধ দিচ্ছে না প্রেসকিপশন ছাড়া। তার এক সঙ্গী বললো, দোস্ত, এক কাম কর, তুই ভাতটাত আর খাইচ না, চিড়া ভিজায়া, কলা-গুড়-চিনি দিয়া খা। পেটটা ঠাণ্ডা থাবো, ডিসেন্ট্রি বন্ধ অইবো।

বন্ধুর কথামতো ভদ্রলোক হোটেলের কাছাকাছি খোঁজাখুঁজি করে একটা মুদি দোকানে গিয়ে বললো, এই যে ভাই, চিড়া আছে? এক পোয়া চিড়া দেন তো।

দোকানি তার কথা বুঝতে না পেরে বললো, কি বলছেন দাদা?

ভদ্রলোক: চিড়া, চিড়া চাইছি, আছে?

দোকানি একটু অবাক হয়ে: চি-ড়া, চিড়া কি দাদা?

ভদ্রলোক বিরক্ত হয়ে, আরে চিড়া-চিড়া, চিড়া চিনলেন না, আরে ওই যে, ভাত রাইন্দা, চেপ্টা কইরা হুকায়া রাখে যে।

দোকানি একটু ইতস্তত ভঙ্গিতে বললো: ভাত রেঁধে..... চেপ্টা করে.... শুকিয়ে রাখে? এ যে চিড়ে, (চিড়ার বয়াম দেখিয়ে) এই চিড়ে চাচ্ছেন মশাই?

ভদ্রলোক: আরে হ..... এইটাইতো চিড়া।

দোকানি: তা কতটুকু দিবো।

ভদ্রলোক: এক পা দেন।

দোকানি: ও, বুঝেছি, আড়াইশো। আর কি দিবো?

ভদ্রলোক: কেলে আছে, কেলে?

দোকানি: কে-লে! কেলে আবার কি দাদা?

ভদ্রলোক দোকানের ভেতরে ঝুলে থাকা কলার কাঁদির দিকে ইশারা করলেন: ওইযে কেলে।

দোকানি বিস্ময়ের সঙ্গে বললো: ওটা কেলে না মশাই, ওটাকে কলা বলে, কলা।

এবার ঢাকাইয়া ভদ্রলোক বললেন: আরে মশাই, চিড়া যদি চিড়ে অয় তাইলে কলা কেন কেলে অইবো না?

0 comments:

Post a Comment

এই লেখাটি ফেইসবুকে শেয়ার করতে ফেইসবুক আইকনে/বাটনে ক্লিক করুন।
মন্তব্য করার ক্ষেত্রে বন্ধুসুলভ আচরণের অনুরোধ রইলো।

 
Design by Amader Design