১।
২০১১ সালের ঘটনা| ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রবায়োলজি ডিপার্টমেন্টে পড়াশোনা করত মেধা| সে অত্যন্ত সুন্দর দেখতে| অনেকেই তাকে পাওয়ার জন্য ব্যাকুল| কিন্তু তাকে কেউ পেতে পারতো না কারণ পারিবারিক ভাবে তার বিয়ে ঠিক হয়ে আছে তার পরম প্রেমিক বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালের কম্পিউটার সায়েন্স ডিপার্টমেন্টে অধ্যায়নরত মেধাবি ছাত্র রিফাত এর সাথে| তারা একে অপরের সাথে প্রেমে নিমজ্জিত প্রায় ৪ বছর ধরে| একসাথেই তারা বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যায়| ভালোই কেটে যাচ্ছিল তাদের দিন| এমনি করেই আসল ২০০৭ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর| সে দিনে তাদের যাওয়ার কথা ছিল Food Village এ| এটি তাদের কাছে যেমন একান্তে মিলনের আনন্দ তেমনি দ্রুতগামী Stylist Yamaha R15 হুন্ডায় ঢাকা-পাবনা হাইওয়ে রাস্তা পাড়ি দেবার আনন্দও বটে| ঠিক বিকেল ৩.০০ টার সময় তারা সুত্রাপুর থেকে রওয়ানা দেয়| রাস্তায় মেধার সাথে কথা বলতে বলতে হুন্ডার নিয়ন্ত্রন রক্ষা করছিল রিফাত| কিন্তু হাইওয়ের ঠিক মাঝামাঝি অতিক্রম করার পর রিফাত হঠাৎ লক্ষ করল রাস্তার অপর পাশ থেকে এগিয়ে আসছে একটি অত্যন্ত দ্রুতগামী ট্রাক| সে তখনি বুঝতে পারলো যে দুর্ঘটনা অনিবার্য| কিন্তু এক সেকেন্ডের ভগ্নাংশের মধ্যে সে সংকল্প করল সে নিজে দুর্ঘটনায় মারা গেলে যাবে কিন্তু মেধাকে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে দেবেনা| তাই সে সাথে সাথে তার হুন্ডার পেছন থেকে ধাক্কা মেরে মেধাকে নিচে ফেলে দিল| চলন্ত হুন্ডা থেকে পরে গিয়ে মেধার মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থান কেটে যায়| এর মুহুর্ত খানিক পরেই হুন্ডাটির ওপর ট্রাক সজোরে আঘাত হানে এবং ট্রাকের প্রচন্ড ধাক্কায় হুন্ডা থেকে পেছন দিকে ছিটকে পরে রিফাত| সাথে সাথে রাস্তার সাথে প্রচন্ড ঘর্ষণে তার মাথা ফেটে রক্ত সারা রাস্তায় ছড়িয়ে পরে আর তার শরীরের বিভিন্ন স্থান থেকে রক্তক্ষরণ হতে থাকে| এই রক্ত দিয়ে তার জামাকাপড় সব ভিজে যায়| তখন মেধা নিজের রক্তস্নাত দেহ নিয়েই দৌড়ে যায় রিফাতের কাছে এবং তাকে জড়িয়ে ধরে কাদতে থাকে| পরে ট্রাকের লোকজন নেমে এসে তাকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলে তারা তাকে ছাড়াতে সক্ষম হয় কিন্তু মেধার হাতে রয়ে যায় রিফাতের রক্তাক্ত শার্টের একটা টুকরা| আর রিফাত তো স্পট ডেড|
২।
এই ঘটনার পর থেকে মেধা পাগলপ্রায়| সে প্রতিরাতে স্বপ্নে দেখে রিফাত তাকে এসে হাতছানি দিয়ে ডাকছে তার সাথে মিলিত হবার জন্য| ঘুমের সময় তার মনে হয় কে যেন তার ঘরে এসে দেয়ালে ধুপধাপ শব্দ করছে| সে শুনতে পায় তার অজানা ব্যাথার,কোন কিছু না পাওয়ার আর্তচিৎকার যা শুধু প্রতিধ্বনিত হয়ে বারবার তার কানে ফিরে আসে|সে যখন নির্জনে একাকী হাটে তখন মনে হয় কেউ যেন তার সাথে সাথে হাটছে|তার পায়ের শব্দ তার কানে আসে| এমনি করে কেটে যায় একটি মাস| আসে অক্টোবর মাসের ১১ তারিখ|রাতে সে ঘুমাতে যায় ঘরের দরজা, জানালা সব কিছু বন্ধ করে| কিন্ত রাত প্রায় ১২ টা-১টার দিকে প্রচন্ড তুফান তার ঘরের দরজা জানালা খুলে দেয়া শুণ্ণ্যের মধ্যে ভেসে ওঠে রিফাতের বৃদ্ধ বয়সের একটি অববয় | সে বলে ওঠে “যাবে না, যাবে না আমার সাথে? আসবে না তুমি আমার কাছে?” এর পর শুরু হয় সেই ধুপ ধাপ শব্দ| কিছুক্ষণ পরে আবার ফিরে আসে সেই অববয়, এই বার তার হাতে রক্তে ভেজা কাপড়ের টুকরা| সেটা দেখার সাথে সাথে সেই কাপড়ের টুকরাটি চিনতে পারে| কিন্তু কি আশ্চর্য! রক্ত তো শুকিয়ে কালচে হয়ে যায় নি এখনতো রক্ত টগবগে তাজা লাল রক্ত| অববয় টি বলে “এটা কি এভাবেই থাকবে, ধুবে না?” তখন তার কানে ভেসে আসে আজানের সুর| সাথে সাথে থেমে যায় সব তুফান, শব্দ| সে দেখে তার ঘরের সব দরজা জানালা বন্ধ| সে উঠে তার বাবা-মা কে ডেকে উঠায়| সকালে ভার্সিটিতে জাবার আগে সে জিজ্ঞাসা করে রাতে তুফানের কথা এবং সে তার অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেয়| কিন্তু তার বাবা বলেন যে রাতে কোন তুফান হয় নি| আরও বলেন বার বার রিফাত কে মনে আনার কারনেই তার এ অবস্থা| মেধা ভার্সিটিতে গিয়ে তার বান্ধবীদের কে তুফানের কথা জিজ্ঞাসা করলে তারাও জানায় যে তারা কন তুফান দেখে নি|তখন সে তার মনে প্রচন্ড ভয় নিয়ে বাসায় আসে| বাসায় এসে দেখে যে বাসায় বাবা মা কেউ নেই| সে তখন রক্তে ভেজে কাপর তি ধুতে নিয়ে যায়| তখনও তাতে লেগে আছে টকটকে তাজা লাল রক্ত| সে সাবান দিয়ে ঘসে ঘসে সেই রক্ত ধুতে চেষ্টা করে| কিন্তু শত ঘসাতেও সেই রক্তের দাগ উঠতে চায় না| বার বার নতুন তাজা রক্ত দিয়ে ভরে যায় সেই কাপড়| প্রতিবার আতংকিত থেকে আতংকিত তর হতে থাকে মেধার মন| তখন দরজায় উদিত হয় রাতের সেই অববয়, বলে উঠে “কি? কাপড়ের রঙ উঠছে না? চিন্তা কি আছে না উন্নত চীনা প্রযুক্তিতে ঢাকার ধোলাইখালে জাপানী প্রকৌশলী দ্বারা প্রস্তুতকৃত থায়ের কম্পানী পরিবেশিত ‘থার্ফ এক্সেল’| এর গুনাবলি হচ্ছে…………………………।।
[এটি HBO চ্যানেলে প্রচারিতব্য খায়ের থার্ফ এক্সেল এর বিজ্ঞাপন| এর প্রতিটি চরিত্র কাল্পনিক|কোন মৃত ব্যক্তির সাথে এর কোন সম্পর্ক খুজতে যাবেন না কিংবা খুজে পেলেও আর অগ্রসর হবেন না| তবে কোন জীবিত মানুষের সাথে এর চরিত্রের মিল থাকলেও থাকতে পারে|---------কল্পনাকারী/লেখক]
২০১১ সালের ঘটনা| ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রবায়োলজি ডিপার্টমেন্টে পড়াশোনা করত মেধা| সে অত্যন্ত সুন্দর দেখতে| অনেকেই তাকে পাওয়ার জন্য ব্যাকুল| কিন্তু তাকে কেউ পেতে পারতো না কারণ পারিবারিক ভাবে তার বিয়ে ঠিক হয়ে আছে তার পরম প্রেমিক বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালের কম্পিউটার সায়েন্স ডিপার্টমেন্টে অধ্যায়নরত মেধাবি ছাত্র রিফাত এর সাথে| তারা একে অপরের সাথে প্রেমে নিমজ্জিত প্রায় ৪ বছর ধরে| একসাথেই তারা বিভিন্ন স্থানে ঘুরতে যায়| ভালোই কেটে যাচ্ছিল তাদের দিন| এমনি করেই আসল ২০০৭ সালের ১১ই সেপ্টেম্বর| সে দিনে তাদের যাওয়ার কথা ছিল Food Village এ| এটি তাদের কাছে যেমন একান্তে মিলনের আনন্দ তেমনি দ্রুতগামী Stylist Yamaha R15 হুন্ডায় ঢাকা-পাবনা হাইওয়ে রাস্তা পাড়ি দেবার আনন্দও বটে| ঠিক বিকেল ৩.০০ টার সময় তারা সুত্রাপুর থেকে রওয়ানা দেয়| রাস্তায় মেধার সাথে কথা বলতে বলতে হুন্ডার নিয়ন্ত্রন রক্ষা করছিল রিফাত| কিন্তু হাইওয়ের ঠিক মাঝামাঝি অতিক্রম করার পর রিফাত হঠাৎ লক্ষ করল রাস্তার অপর পাশ থেকে এগিয়ে আসছে একটি অত্যন্ত দ্রুতগামী ট্রাক| সে তখনি বুঝতে পারলো যে দুর্ঘটনা অনিবার্য| কিন্তু এক সেকেন্ডের ভগ্নাংশের মধ্যে সে সংকল্প করল সে নিজে দুর্ঘটনায় মারা গেলে যাবে কিন্তু মেধাকে দুর্ঘটনার কবলে পড়তে দেবেনা| তাই সে সাথে সাথে তার হুন্ডার পেছন থেকে ধাক্কা মেরে মেধাকে নিচে ফেলে দিল| চলন্ত হুন্ডা থেকে পরে গিয়ে মেধার মাথা সহ শরীরের বিভিন্ন স্থান কেটে যায়| এর মুহুর্ত খানিক পরেই হুন্ডাটির ওপর ট্রাক সজোরে আঘাত হানে এবং ট্রাকের প্রচন্ড ধাক্কায় হুন্ডা থেকে পেছন দিকে ছিটকে পরে রিফাত| সাথে সাথে রাস্তার সাথে প্রচন্ড ঘর্ষণে তার মাথা ফেটে রক্ত সারা রাস্তায় ছড়িয়ে পরে আর তার শরীরের বিভিন্ন স্থান থেকে রক্তক্ষরণ হতে থাকে| এই রক্ত দিয়ে তার জামাকাপড় সব ভিজে যায়| তখন মেধা নিজের রক্তস্নাত দেহ নিয়েই দৌড়ে যায় রিফাতের কাছে এবং তাকে জড়িয়ে ধরে কাদতে থাকে| পরে ট্রাকের লোকজন নেমে এসে তাকে ছাড়ানোর চেষ্টা করলে তারা তাকে ছাড়াতে সক্ষম হয় কিন্তু মেধার হাতে রয়ে যায় রিফাতের রক্তাক্ত শার্টের একটা টুকরা| আর রিফাত তো স্পট ডেড|
২।
এই ঘটনার পর থেকে মেধা পাগলপ্রায়| সে প্রতিরাতে স্বপ্নে দেখে রিফাত তাকে এসে হাতছানি দিয়ে ডাকছে তার সাথে মিলিত হবার জন্য| ঘুমের সময় তার মনে হয় কে যেন তার ঘরে এসে দেয়ালে ধুপধাপ শব্দ করছে| সে শুনতে পায় তার অজানা ব্যাথার,কোন কিছু না পাওয়ার আর্তচিৎকার যা শুধু প্রতিধ্বনিত হয়ে বারবার তার কানে ফিরে আসে|সে যখন নির্জনে একাকী হাটে তখন মনে হয় কেউ যেন তার সাথে সাথে হাটছে|তার পায়ের শব্দ তার কানে আসে| এমনি করে কেটে যায় একটি মাস| আসে অক্টোবর মাসের ১১ তারিখ|রাতে সে ঘুমাতে যায় ঘরের দরজা, জানালা সব কিছু বন্ধ করে| কিন্ত রাত প্রায় ১২ টা-১টার দিকে প্রচন্ড তুফান তার ঘরের দরজা জানালা খুলে দেয়া শুণ্ণ্যের মধ্যে ভেসে ওঠে রিফাতের বৃদ্ধ বয়সের একটি অববয় | সে বলে ওঠে “যাবে না, যাবে না আমার সাথে? আসবে না তুমি আমার কাছে?” এর পর শুরু হয় সেই ধুপ ধাপ শব্দ| কিছুক্ষণ পরে আবার ফিরে আসে সেই অববয়, এই বার তার হাতে রক্তে ভেজা কাপড়ের টুকরা| সেটা দেখার সাথে সাথে সেই কাপড়ের টুকরাটি চিনতে পারে| কিন্তু কি আশ্চর্য! রক্ত তো শুকিয়ে কালচে হয়ে যায় নি এখনতো রক্ত টগবগে তাজা লাল রক্ত| অববয় টি বলে “এটা কি এভাবেই থাকবে, ধুবে না?” তখন তার কানে ভেসে আসে আজানের সুর| সাথে সাথে থেমে যায় সব তুফান, শব্দ| সে দেখে তার ঘরের সব দরজা জানালা বন্ধ| সে উঠে তার বাবা-মা কে ডেকে উঠায়| সকালে ভার্সিটিতে জাবার আগে সে জিজ্ঞাসা করে রাতে তুফানের কথা এবং সে তার অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেয়| কিন্তু তার বাবা বলেন যে রাতে কোন তুফান হয় নি| আরও বলেন বার বার রিফাত কে মনে আনার কারনেই তার এ অবস্থা| মেধা ভার্সিটিতে গিয়ে তার বান্ধবীদের কে তুফানের কথা জিজ্ঞাসা করলে তারাও জানায় যে তারা কন তুফান দেখে নি|তখন সে তার মনে প্রচন্ড ভয় নিয়ে বাসায় আসে| বাসায় এসে দেখে যে বাসায় বাবা মা কেউ নেই| সে তখন রক্তে ভেজে কাপর তি ধুতে নিয়ে যায়| তখনও তাতে লেগে আছে টকটকে তাজা লাল রক্ত| সে সাবান দিয়ে ঘসে ঘসে সেই রক্ত ধুতে চেষ্টা করে| কিন্তু শত ঘসাতেও সেই রক্তের দাগ উঠতে চায় না| বার বার নতুন তাজা রক্ত দিয়ে ভরে যায় সেই কাপড়| প্রতিবার আতংকিত থেকে আতংকিত তর হতে থাকে মেধার মন| তখন দরজায় উদিত হয় রাতের সেই অববয়, বলে উঠে “কি? কাপড়ের রঙ উঠছে না? চিন্তা কি আছে না উন্নত চীনা প্রযুক্তিতে ঢাকার ধোলাইখালে জাপানী প্রকৌশলী দ্বারা প্রস্তুতকৃত থায়ের কম্পানী পরিবেশিত ‘থার্ফ এক্সেল’| এর গুনাবলি হচ্ছে…………………………।।
[এটি HBO চ্যানেলে প্রচারিতব্য খায়ের থার্ফ এক্সেল এর বিজ্ঞাপন| এর প্রতিটি চরিত্র কাল্পনিক|কোন মৃত ব্যক্তির সাথে এর কোন সম্পর্ক খুজতে যাবেন না কিংবা খুজে পেলেও আর অগ্রসর হবেন না| তবে কোন জীবিত মানুষের সাথে এর চরিত্রের মিল থাকলেও থাকতে পারে|---------কল্পনাকারী/লেখক]





8:30 PM
Admin
Posted in:
0 comments:
Post a Comment
এই লেখাটি ফেইসবুকে শেয়ার করতে ফেইসবুক আইকনে/বাটনে ক্লিক করুন।
মন্তব্য করার ক্ষেত্রে বন্ধুসুলভ আচরণের অনুরোধ রইলো।